নির্বাচনী অর্থ সংগ্রহের বিষয়ে সরকারের চালু করা নির্বাচনী বন্ড 'অসাংবিধানিক' বলে বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। গত ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ তাঁদের রায়ে বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে কোন রাজনৈতিক দল কার থেকে কত টাকা চাঁদা পেয়েছে - তা ৬ ই মার্চের মধ্যে জানাতে হবে। যেহেতু পুরো টাকাটা লেনদেন হয়েছে ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের মাধ্যমে ফলে সেই তথ্য সরবরাহ করার দায়িত্ব তাদের - ই। নির্বাচনে রায় দেন দেশের সাধারণ জনগণ সুতরাং এই তথ্য জানার অধিকার...
ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে বৃহস্পতিবার রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ওই বন্ডকে সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক বলে জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সামনেই ভোট। এই সময়ে সুপ্রিম কোর্টে এই রায় আমাদের ঠেলে দিয়েছে গতানুগতিক দুটি ভাবনার দিকে। ইংরেজিতে যাকে বলে 'ক্লিশে'। একদিক থেকে দেখতে গেলে এই রায় আসতে সত্যিই খুব দেরি হয়ে গিয়েছে। তবে আবার এটাও তো ঠিক, দেরি হলেও তো হয়েছে। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী প্রয়াত অরুণ জেটলি তাঁর বাজেট বক্তৃতায় প্রথম ইলেক্টোরাল বন্ডের প্রস্তাব এনেছিলেন। তবে তা কার্যকর করতে আরও এগারো মাস সময় লেগে গিয়েছিল...
এমন একজন মহিলার বিষয়ে আজ কথা বলব, তিনি যদি বেঁচে থাকতেন বয়স হতো ৬২। ওঁর জন্মদিন ২৯ জানুয়ারি, ১৯৬২। তবে বছর ছয়েক আগে, ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে তাঁর নিজেরই বাড়ির সামনে একটি লোক মোটরসাইকেলে এসে গুলি করে মেরে ফেলে। ওঁদের পৈতৃক বাড়ি ছিল সেটি, বেঙ্গালুরুর রাজারাজেশ্বরী নগরে। গৌরী লঙ্কেশ নেই, ছয় বছর হয়ে গেল! গৌরী শুধু তো একজন দাপুটে মহিলা, একজন অসাধারণ সাংবাদিকই ছিলেন না। নিজের নামে, গৌরী লঙ্কেশ পত্রিকে প্রকাশ করতেন কিন্তু কেবল 'সাংবাদিক' বললে কিছুই বলা হয় না গৌরী সম্পর্কে। গৌরী সমাজকর্মী ছিলেন।...
মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে বিজেপি ফিরে এসেছে। অনেকেই বিস্মিত এই ঘটনায়। এই বিধানসভা ভোটের সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের সম্পর্ক বা পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের সম্পর্ক অবশ্যই আছে। তবে, বিষয়টা জটিল। কংগ্রেসের এখন নানা দুর্বলতা। প্রথমত, ভারতীয় জনতা পার্টির যে আগ্রাসী হিন্দুত্ব, কট্টর হিন্দুত্ব, তার বিরুদ্ধে নরম হিন্দুত্ব আশ্রয় করলে হার অত্যন্ত স্বাভাবিক। এই ভুল ভূপেশ বাগেল করেছিলেন। বলেছিলেন, অযোধ্যায় রামমন্দির হচ্ছে, তাঁর রাজ্যও নাকি একদা রাম বাস করেছেন। কমলনাথও সেই একই ভুল করলেন। কেবল মন্দিরে মন্দিরে ঘুরলেন...
ধমরা এলএনজি টার্মিনাল নিয়ে ফের সংসদে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। চলতি বছরের মার্চ মাসে। টার্মিনালের ক্যাপাসিটি ব্যবহারের জন্য আইওসিএল এবং গেইলকে কোনও রকম আর্থিক মূল্য চোকাতে হয় কি না তা নিয়ে প্রশ্ন করেন মহুয়া। এ ছাড়াও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি ধরমা টার্মিনালের সঙ্গে কী কী চুক্তি করেছে তা নির্দিষ্ট করে জানতে চান তৃণমূল সাংসদ। এর আগেই বলেছি মহুয়ার প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড আইনজীবী অনন্ত দেহাদরাই সিবিআই-এর কাছে বেশ কিছু নথি তুলে দেন। নথিতে আইনজীবীর অভিযোগ, 'ধরমা এলএনজি টার্মিনাল নিয়ে মহুয়ার এত...
সাংসদ মহুয়া মৈত্র। একজন সুবক্তা, আত্মসচেতন, স্বাধীনচেতা মহিলা। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে কৃষ্ণনগর লোকসভা থেকে নির্বাচিত। যিনি বরাবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ কর্পোরেট-বন্ধু গৌতম আদানির বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা সমালোচনা করে থাকেন। ইদানিং মহুয়া একটি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। সাংসদ এবং তাঁর আইনজীবী, যিনি মহুয়ার প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ডও বটে, এই দু'জনের মধ্যে একাধিক বিষয়ে মতপার্থক্য তৈরি হয়। এমনকি পোষ্য রট উইলার কার হেফাজতে থাকবে তা নিয়েও ঝামেলায় জড়ান দু'জন। এই কাহিনির কুশীলবের তালিকায় আরও একটি নাম...
প্রায় ঘণ্টা দশেক আমি দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের অফিসে বসেছিলাম। আর এই চা-কুলচা-ছোলার প্রশ্ন আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে কম করে হলেও প্রায় দশবার। ৩ অক্টোবর, ভোর তখন সাড়ে ৬ টা। ব্রেকফাস্ট হয়নি তখনও। ছেলে কলেজ যাওয়ার জন্য বেরোচ্ছে, বাইরে ছাড়তে গিয়ে দেখি দরজায় ন' জন পুলিশ। নিউজক্লিকের বিষয়ে প্রশ্ন করতে এসেছেন। দু’ঘণ্টা এই পুলিশরা গুরগাঁওয়ে আমার ঘরে বসে রইলেন। আমার স্ত্রী তাঁদের চা-জল খাওয়ালেন। একের পর এক প্রশ্ন শুরু করলেন পুলিশকর্মীরা। মোবাইল চাইলেন। আমি বললাম, মোবাইল নেওয়ার আগে আমাকে...
একজন বিরোধী সাংসদকে 'ভড়ওয়া' বলছেন আরেক সাংসদ, বিজেপি সাংসদ। তা শুনে একগাল হাসছেন অন্য বিজেপি সাংসদরা। বিজেপির রমেশ বিধুরি তাঁরই সহনাগরিক বিএসপি সাংসদ, বলা ভালো মুসলিম সাংসদকে বলছেন, "ইস মুল্লে কো বাহার দেখ লুঙ্গা”! হাসছেন বিজেপির নেতারা। অমৃতকালের অমৃতভাষণ বর্ষণ করছেন বিজেপির হিন্দু সাংসদ! রমেশ বিধুরি সংসদে এমন ভাষা প্রয়োগ করার সাহস রাখেন। সাহস জোগায় দেশের ক্ষমতাসীন বিজেপি দল। আর দানিশ আলির পাশে রইলেন কে? দেশজুড়ে বিরোধীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঠিকই কিন্তু মায়াবতী চুপ! নিজেরই দলের সাংসদের এমন...
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের পর অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (OCCRP)। আবারও আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা কাঠগড়ায় তুলল শিল্পপতি গৌতম আদানি এবং তাঁর সংস্থা আদানি গোষ্ঠীকে। শেয়ারদরে কারচুপি থেকে প্রতারণা, বিনিয়োগ আইন লঙ্ঘনের মতো ভুরি ভুরি অভিযোগ নরেন্দ্র মোদি ঘনিষ্ঠ আদানিদের বিরুদ্ধে। আর্থিক তছরুপ নিয়ে তদন্তকারী সাংবাদিকদের নিয়ে তৈরি ওই সংস্থার রিপোর্ট ঘিরে নতুন করে উত্তাল পরিস্থিতি। তদন্ত রিপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে অভিযুক্তপক্ষ সাফাই দেওয়ার সুযোগ পায়। OCCRP-র...
মণিপুরে যে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে, এ তো অস্বাভাবিক ছিল না। মেইতেই, কুকি আর নাগা, এদের মধ্যেকার যে দ্বন্দ্ব তা তো আজকের না। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মণিপুর এই দ্বন্দ্বে জেরবার। মণিপুর রাজ্যের অর্ধেকের একটু বেশি সংখ্যার মানুষ ইম্ফলের উপত্যকায় থাকে, যেখানে লোকটাক হ্রদটির অবস্থান। পাহাড়ে থাকেন প্রায় ৪০ শতাংশের কাছাকাছি মানুষ। এই মানুষরা মূলত কুকি এবং নাগা, তাঁদের বেশিরভাগই ক্রিশ্চান ধর্মাবলম্বী এবং তপশিলি জাতি। যখন মণিপুর হাইকোর্টের বিচারক মুরলিধরন বললেন, মেইতেইদেরও এই অনুসূচির জনজাতির তালিকাতে আনা হবে...